চরমোনাই-জামায়াত নৈকট্য আলোচনায়: সঠিক কৌশল না হলে উল্টো ফল পাওয়ার শঙ্কা: আবু বকর সিদ্দিক ফুলপুরী
বাংলাদেশের ইসলামী রাজনৈতিক অঙ্গনে সম্প্রতি যে নতুন সমীকরণ তৈরি হয়েছে, তা ঘিরে বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। বিশেষ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও কওমীভিত্তিক দলগুলোর সম্ভাব্য ঐক্যের প্রসঙ্গ সামনে আসার পর অনেকে মনে করছেন-এ জোট বাস্তবায়িত হলে রাজনৈতিক মাঠে জামায়াতের বর্তমান ‘হাইপ’ এতটা তৈরি হতো না।
বিশ্লেষকদের মতে, জামায়াত ঐতিহ্যগতভাবে যেসব আসনে শক্তিশালী, প্রায় ১০-১৫টি আসনের বাইরে তাদের জয়ের সম্ভাবনা কম। সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও জামায়াতের প্রতি গণহারে ঝোঁক দেখা যেত না বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা।
এদিকে হেফাজতের আমীর, জমিয়ত নেতৃত্ব ও পীর সাহেব চরমোনাই যদি মওদূদীবাদের সমালোচনা সামনে আনতেন, তাহলে ইসলামী রাজনীতির মাঠে জামায়াত আরও সংকুচিত হয়ে পড়তে পারত। নতুন রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে এনসিপি নতুন বন্দোবস্তের স্লোগান এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ “পূর্ণ ইসলামের রাজনীতি” সামনে এনে বিকল্প শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার সম্ভাবনাও ছিল।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেশের চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ ও স্বার্থান্বেষী চক্রের বিরুদ্ধে বৃহত্তর ঐক্য গঠনের প্রেক্ষিতে জামায়াত ও চরমোনাই ঘনিষ্ঠ অবস্থানে এসেছে-যা ইসলামী ঘরানার রাজনীতিতে নতুন গতিশক্তি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই নৈকট্য সব দলের জন্যই একটি সুযোগ। তবে কেউ যদি নিজেদের দলীয় এজেন্ডা প্রাধান্য দিতে গিয়ে ঐক্যের আবহ নষ্ট করে ফেলে-তা দীর্ঘমেয়াদে সংশ্লিষ্টদের জন্যই ক্ষতির কারণ হতে পারে।
তাদের মতে, দেশ, জনগণ এবং বৃহত্তর ইসলামী স্বার্থের জায়গা থেকেই এই ঐক্যকে দেখা উচিত। অন্যথায় ভুল কৌশল ভবিষ্যতে বিশেষ করে জামায়াতের জন্য ‘বুমেরাং’ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
চরমোনাই-জামায়াত নৈকট্য আলোচনায়: সঠিক কৌশল না হলে উল্টো ফল পাওয়ার শঙ্কা
Protidhoni Times
0
Tags
রাজনৈতিক বিশ্লেষণ

Post a Comment