৮ দলীয় সমঝোতার প্রক্রিয়ায় ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়ীয়া) আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব মুফতি নূরে আলম সিদ্দিকী,এর বিকল্প নিয়ে মাঠপর্যায়ে যে আলোচনা চলছে, সেখানে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বড় অংশই মনে করছে-এই আসনে হাতপাখার প্রার্থীই সবচেয়ে বাস্তবসম্মত ও গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত।
কেন হাতপাখার প্রার্থীর বিকল্প নেই? মাঠপর্যায়ের তিনটি মূল কারণ তুলে ধরা হয়েছে
১. দাড়িপাল্লার কামরুল ইসলাম মিলনকে মনোনয়ন দিলে জামায়াতের ভোট এক বাক্সে যাবে না
জামায়াতে ইসলামীর মাঠপর্যায়ের বড় অংশ অধ্যাপক জসিম উদ্দিন-এর প্রতি সুস্পষ্টভাবে অনুগত। ফুলবাড়ীয়ার জনসাধারণের বড় অংশ সরাসরি জসিম স্যারের মাধ্যমে উপকৃত হওয়ায় তাদের ভোট মিলন সাহেবের কাছে যাবে,এমন সম্ভাবনা অত্যন্ত কম।
বর্তমান বাস্তবতায় জসিম স্যারকে বাদ দিয়ে মিলন সাহেবকে এগিয়ে আনা জামায়াতের পক্ষে সম্ভব নয়। ফলে মিলন সাহেব ৮ দলের প্রার্থী হলে “এক বাক্স নীতি প্রথম ভাঙবে জামায়াতের দিক থেকেই,এমনটাই স্থানীয় পর্যায়ের বিশ্লেষণ।
এটি পুরোপুরি **ফিল্ড অ্যানালাইসিস, কোনো তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা নয়।
২. খেলাফত মজলিসের মনোনীত প্রার্থী ফুলবাড়ীয়ার স্থানীয় নন
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস থেকে মনোনীত মুফতি আব্দুল কাদের মুক্তাগাছার বাসিন্দা।
ফুলবাড়ীয়ার মানুষ ঐতিহ্যগতভাবে বহিরাগত কাউকে এমপি বানাতে অনীহা প্রকাশ করে,এটি বিদিত বিষয়।
এদিকে খেলাফত মজলিসের পরিচিত মুখ **মাওলানা ফরহাদ হোসেন** মনোনয়ন পাওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে নাটকীয়ভাবে কাদের সাহেব মনোনীত হন। ফলে স্থানীয় খেলাফত নেতাকর্মীর বড় অংশই তাঁর সঙ্গে মাঠে নেই।
৩. অন্যান্য দলের কার্যক্রম মাঠপর্যায়ে দুর্বল
খেলাফত মজলিসের হাফেজ রফিকুল ইসলাম,এর শুধু ব্যানার শোভা পাচ্ছে, তেমন কোনো কার্যক্রম নেই।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, নেজামে ইসলাম পার্টি, জাগপা ও ডেভেলপমেন্ট পার্টির কার্যক্রমেও ফুলবাড়ীয়ায় দৃশ্যমান গতি নেই।
ফলে ৮ দলের অন্য সব সম্ভাব্য প্রার্থী মাঠে পিছিয়ে।
কেন হাতপাখার প্রার্থীই সর্বাধিক সহজ, গ্রহণযোগ্য ও কার্যকর?
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আলহাজ্ব মুফতি নূরে আলম সিদ্দিকীর ক্ষেত্রে
* **কোনো বিতর্ক নেই**
* **কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী নেই**
* **স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয়**
*রাজনৈতিকভাবে পরিচ্ছন্ন ব্যাকগ্রাউন্ড
সক্রিয় তৃণমূল সংগঠন রয়েছে
গত দুই মাসে সকল ইউনিয়ন ও ১২৬টি ওয়ার্ড কমিটি গঠন/নবায়ন করা হয়েছে
অন্যান্য দলের তুলনায় নীরব কিন্তু স্থায়ী সমর্থক-ভোটার রয়েছে
জামায়াতের পরিস্থিতি
ফুলবাড়ীয়ায় জামায়াতের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক জটিলতা তৈরি হয়েছে-
এটি শুধু উপজেলা নয়, জেলা পর্যায়েও প্রভাব ফেলতে পারে, কারণ,
একজন জেলার নায়েবে আমীর, আরেকজন দীর্ঘদিনের জেলার আমীর দুজনই ভিন্নমতের প্রার্থী নিয়ে জটিলতার মধ্যে রয়েছেন।
এই অবস্থায় অন্য দলের সমঝোতার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করলে
জামায়াত নিজের জটিলতা থেকে বাঁচবে
আর এন্টি-বিএনপি কেউ নির্বাচিত হলে জামায়াতের পরবর্তী রাজনীতির জন্য তা বেশি সুবিধাজনক হতে পারে
কারণ বিএনপি থেকে এমপি হলে জামায়াতের রাজনীতি কঠিন হতে পারে,
কিন্তু এন্টি-বিএনপি কেউ হলে তাদের রাজনৈতিক ক্ষেত্র আরও উন্মুক্ত হতে পারে।
মাঠপর্যায়ের সকল বিশ্লেষণ মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে,
ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়ীয়া) আসনে ৮ দলীয় সমঝোতায় হাতপাখার প্রার্থী মনোনীত করাই সবচেয়ে যৌক্তিক, সময়োপযোগী ও গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত।
৮ দলীয় সমঝোতায় ময়মনসিংহ-৬ আসনে হাতপাখার প্রার্থীই সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য—মাঠপর্যায়ের বিশ্লেষণে স্পষ্ট সমর্থন
Protidhoni Times
0

Post a Comment