ঢাকা, ২৬ জুলাই ২০২৫:
বাংলাদেশে জাতিসংঘের নতুন মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপন নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে দেশের সাধারণ আলেম সমাজ। গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তারা দাবি করেন, এই কার্যালয় শুধু একটি প্রশাসনিক অফিস নয়, বরং এটি একটি রাজনৈতিক ও আদর্শিক মতবাদ বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্ব, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সামাজিক ঐতিহ্যের জন্য হুমকি তৈরি করতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বের ১৮টি দেশে জাতিসংঘ এ ধরনের কার্যালয় চালু করেছে এবং অনেক ক্ষেত্রেই এর ফলাফল শুভ হয়নি। তাদের অভিযোগ, "মানবাধিকার" ব্যানারে এক ধরনের আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা চলে, যা ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক পরিচয়কে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
তিনটি প্রধান শঙ্কা
আলেম সমাজ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনটি নির্দিষ্ট শঙ্কার কথা উল্লেখ করে:
১. রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ:
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের ঘিরে বিদেশি পর্যবেক্ষণ এবং হস্তক্ষেপের আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। তারা দাবি করেন, এই অঞ্চলে জাতিসংঘের তৎপরতা বাড়লে দেশের জাতীয় অখণ্ডতা হুমকির মুখে পড়তে পারে।
২. পক্ষপাতমূলক তৎপরতা:
ফিলিস্তিন, কাশ্মীর ও আফগানিস্তানের মতো মুসলিম অধ্যুষিত সংকটাপন্ন এলাকায় জাতিসংঘ কোনো মানবাধিকার অফিস চালু না করলেও বাংলাদেশে দ্রুততার সঙ্গে এ ধরনের কার্যালয় খোলা রাজনৈতিক পক্ষপাতের ইঙ্গিত বহন করে বলে মন্তব্য করা হয়।
৩. ধর্মীয় ও সামাজিক রীতিনীতিতে হস্তক্ষেপের শঙ্কা:
আলেম সমাজের মতে, আন্তর্জাতিক সংস্থার নীতিমালা ও কার্যক্রম দেশের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সামাজিক প্রথার সঙ্গে সাংঘর্ষিক হতে পারে। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এ কার্যালয় তরুণ সমাজকে বিভ্রান্ত করবে এবং নৈতিক অবক্ষয়ের দিকে ঠেলে দেবে।
সরকারের প্রতি আহ্বান
বিবৃতিতে বলা হয়, “এই অফিস শুধুই একটি স্থাপনা নয়, বরং একটি মতবাদ—যার মাধ্যমে মুসলিম সমাজের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হতে পারে।”
তারা আরও বলেন, দেশের জনগণ, আলেম সমাজ ও মূল্যবোধনির্ভর নাগরিকদের উচিত এ ধরনের উদ্যোগের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া। পাশাপাশি, সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয় যেন দেশের সংস্কৃতি, ধর্মীয় ঐতিহ্য এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।
PROTIDHONI TIMES 24
Post a Comment